জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সেই সেতু দিয়ে আবারও একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক পারাপারের সময় সেতুর স্টিলের পাটাতন খুলে নিচে পড়ে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ বয়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই মহাসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার ইছাগাঁও নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে এই কাঁটাগাঙের বেইলি সেতু ভেঙে দুই জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দিআঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক যাচ্ছিল। এ সময় জগন্নাথপুর অংশের ইছগাঁও কাঁটাগাঙের স্টিলের বেইলি সেতুতে উঠলে সেতুর ৪—৫টি স্টিলের পাটাতন খুলে নিচে ভেঙে পড়ে এবং ট্রাকটির পিছনের অংশ দেবে যায়। ফলে এ সেতু দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে রানীগঞ্জ সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে আঞ্চলিক এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। কাঁটাগাঙের সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চালু রাখার কারণে প্রায়ই যান চলাচলে সমস্যা হতো। এখন ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে সড়ক ও সেতু বিভাগের লোকজন কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করতে আমরা কাজ করব।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুতে নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের পর ডিজাইনের কাজ চলছে। এরপর টেন্ডার হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক জগন্নাথপুর—আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ইছগাঁও এলাকার কাঁটাগাঙ বেইলি সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ট্রাকের ভেতর থাকা চালক ওমর ফারুক ও হেলপার জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিল। এরপর মাসখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়।