• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের বাজারে শীতকালীন সবজি এলেও কমছে না দাম

AMZAD
প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২৪ ২০:৪৮:৩৮
সিলেটের বাজারে শীতকালীন সবজি এলেও কমছে না দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবু, কমছে না দাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দাম কমবে বলে আশা করা হলেও উল্টো বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। শীতকালীন সবজির এই মৌসুমেও দাম না কমায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির বাড়তি দাম দেখা গেছে। দুই একটি সবজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া গেলেও বেশির ভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার বেশি।
সরেজমিনে নগরীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, সিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, পেঁয়াজের নতুন ফুল ফুলকা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কিস্তা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, ছোট সাইজের বাধা কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। লেয়ার প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির এমন বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। সিলেটের আম্বরখানায় বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রুবেল মিয়া বলেন, সারাদেশে শীত প্রায় চলেই এসেছে। এই সময় সবজির দাম সবার হাতের নাগালে থাকার কথা। কিন্তু বাজারে উল্টো চিত্র। এখনও ১০০/৮০ টাকার নিচে বাজারে সবজি নেই। বিক্রেতারা যে যার মতো করে দাম আদায় করে নিচ্ছেন। বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগও চোখে পড়ে না।

মদিনা মার্কেটের সবজি বিক্রেতা সজিব আহমেদ বলেন, সবজির দাম বেশি থাকলে আমাদের বিক্রি কম হয়। কারণ, যেই ক্রেতা এক আইটেমের এক কেজি সবজি নিত কিন্তু দাম বাড়তির কারণে সেই ক্রেতা আধা কেজি, আড়াইশ গ্রাম করে সবজি কিনছে। সেই কারণে পাইকারি বাজার থেকে আমরাও তুলনামূলক কম পরিমাণে সবজি আনছি খুচরা বাজারে।

সবজির দাম প্রসঙ্গে কাজীটুলা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, আসলে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে বাজারে। পাইকারি বাজারে প্রতিটি পণ্য আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। শীত এলে নতুন সবজি বাজারে উঠবে। তখন দাম কমে যাবে সব ধরনের সবজির। বর্তমানে যেসব সবজি বাজারে আছে, সেগুলো মৌসুম শেষদিকের সবজি। তাই কিছুটা বাড়তি দাম। নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকবে সবজির।