• ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে টিলা কেটে বাড়ি নির্মাণের দায়ে ৯ জনের নামে মামলা

AMZAD
প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ১৪:০৮:৪৯
সিলেটে টিলা কেটে বাড়ি নির্মাণের দায়ে ৯ জনের নামে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট সিটি করপোরেশনের টিলারগাঁও এলাকায় টিলা কেটে বাড়ি নির্মাণ করায় ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। এঘটনায় টিলা কর্তনকালে সুভাষ পাল নামে একজনকে আটক করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।

সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের আওতাধীন টিলারগাঁও, আখালিয়া এলাকার কুমারগাঁও মৌজার ১০১৫ নং খতিয়ানের ২১৪০ নং দাগের অন্তর্গত দৃশ্যমান ও রেকর্ডীয় টিলারকম ভূমিতে টিলা কর্তনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেল ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আশিক কবির। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে তারা দেখতে পান ও উপস্থিত লোকজনের সাথে আলোচনায় জানতে পারেন ৯ জন ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত অপরিকল্পিতভাবে ৪৮ হাজার ৭২ ঘনফুট টিলার মাটি কর্তনপূর্বক অপসারণ করেছেন। এসময় বসতঘর নির্মাণের জন্য টিলা কর্তনকালে সুভাষ পাল (৪৭) নামে একজনকে আটক করা হয়। এঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এবং ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, সুভাষ পাল (৪৭), প্রিয়তোষ দাস (৪৫), সুহেল মিয়া (৩২), রুহেল মিয়া (৪০), কয়েছ মিয়া (৪১), মোফাজ্জল হোসেন (৫০), আহমদ আলী (৪৬), মো. জাহাঙ্গীর (২৭), আব্দুল্লাহ (২৫)।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, টিলা কর্তনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে টিলারগাঁও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় টিলা কাটাকালে একজনকে আটক করা হয়। উপস্থিত লোকজনের সাথে আলোচনায় জানা যায় আটক সুভাষসহ ৯ জন মিলে এই টিলা কেটে বসতঘর নির্মাণ করে পরিবেশের ক্ষতি করছেন। যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা ৬(খ) লঙ্ঘন, যা একই আইনের ১৫(১) টেবিলের ক্রমিক নং ৫ অনুসারে দণ্ডনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই আমরা এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেছি। পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০ অনুসারে পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মর্কতা কর্তৃক তদন্তপূর্বক অভিযোগপত্র/চার্জশিট আদালতে দাখিল করবেন।