নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক শব্দ দূষনের নামে সিলেট বিভাগের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। প্রায় ১৭ বছর ধরে পরিবেশ-জনবান্ধ, জনকল্যাণমুলক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি আমরা সিলেট বিভাগের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন ব্যবসায়ীরা। ছাত্র-জনতার বৈষ্যম বিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিট সরকারের সরকারের পতনের পর নতুন করে আবার বৈষ্যমের স্বীকার হচ্ছে আমরা সিলেট বিভাগের ব্যবসায়ীরা। শব্দ দুষণ-পরিবেশের নামে ব্যবসায়ীদের হামলা-জরিমানা করে যাচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক।
সিলেট বিভাগের পরিচালক শব্দ দূষনের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছেন, আমরা সিলেট বিদ্ধেশী, বৈষ্যমূলক আচরণকারী পরিচালকের অপসারণ চাই। অন্যতায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন সিলেট বিভাগের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের ব্যবসায়ীরা। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি প্রতারক কু-চক্রিমহল কাজ করে যাচ্ছে। প্রতারক-দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ট ও পরিবেশ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৮ সালে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে লোড বৃদ্ধি করেছে, যার ভিত্তিতে জালালাবাদ গ্যাস কতৃপক্ষ ২০২২ সালে নির্দিষ্ট পরিমান ফি নিয়ে আবেদন করতে বললে নির্ধারিত ফি দাখিল করি আমরা, কিন্তু সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন স্থাপনের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের কোন লোড বাড়ানো হয় নাই।
ব্যবসায়ীরা বলেন, অনুমোদন এর সময় চালনা ধার্য ১২ঘন্টা ধরে হিসাব করা হয় তাই মাসিক লোড ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে মেষ হয়ে যায়। আামাদের প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানী কৃর্তক দৈনকি ১২ ঘন্টা হিসেবে, মাসিক ২৬ দিনের লোড গণনাপূর্বক ২০ শতাংশ অবচয় বাদ দিয়ে অনুমোদিত লোড গণা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত গ্যাজেট এবং নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি সিএনজি ষ্টেশন দৈনিক ১৯-২০ঘন্টা করে পুরো মাস চালু রাখার দির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দৈনিক ১২ঘন্ট হিসেবে মাসিক ২৬ দিনের লোড গণনার প্রক্রিয়া অযৈৗতিক, দেশের ক্রমবর্ধমান যানবাহন বৃদ্ধির আলোকে জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন সিএনজি ষ্টেশনে ধার্য করা ১২ ঘন্টার পরিবর্তে ২০ঘন্টা এবং মাসিক ২৬ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন করার আহবান জানান ব্যবসায়ীরা। দেশের অন্যান্য কোম্পানীতে লোড বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ সিলেট বিভাগের ব্যবসায়ীরা বৈষ্যমের স্বীকার।
শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপশহরস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগ আয়োজিত জরুরি মতবিনিময় বক্ত্যারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় জরুরি মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, এসোসিয়েশন সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজুওয়ান আহমদ, সাংগঠিনক সম্পাদক আলী আফছার মো: ফাহিম, অর্থ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত ধার বাপ্পি, সিনিয়র সদস্য প্রফেসর সিরাজুল হক, ইফতেখার আহমেদ, স্যার জন রাসু, মো: নাফিস জুবায়ের চৌধুরী, আনহার উদ্দিন, আকবর হোসেন আলি, সাব্বির আহমদ, আখতারুল ইসলাম, লোকমান আহমদ মাছুম, সাইমুল আলম সেতু, আব্দুস সহিদ মিয়া, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।