হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কিশোর মোস্তাকিন মিয়াকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার দুই ভাবিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করলে সেখান থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার অপরাধীরা হলেন নিহত মোস্তাকিনের বড় ভাই উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (২৯) ও সজলু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (২২)।
পুলিশ জানায়, রোজিনা ও তাসলিমার সহযোগিতায় তাদের ‘পরকীয়া প্রেমিক’ রায়হান উদ্দিন মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করেন জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।
পরে রাতেই দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জবানবন্দী দেওয়া রায়হান নবীগঞ্জ উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে ও মোস্তাকিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় আদিত্যপুর গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে নির্মাণ শ্রমিক মোস্তাকিন মিয়াকে (১৭) গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৫ নভেম্বর তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দুই আসামির বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের মা ফুলবানু।
পরে গত বৃহস্পতিবার র্যাব হবিগঞ্জ ও সিলেট ক্যাম্পের সদস্যরা সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রায়হানকে আটক করে। শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহেদুল আলম ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) তরিকুল ইসলাম জানান, রোজিনা ও তাসলিমার সঙ্গে রায়হানের পরকীয়া রয়েছে। ২৪ নভেম্বর রাতে রায়হান প্রথমে তাসলিমা এবং পরে রোজিনার ঘরে গিয়ে সময় কাটান।
দেবর তরিকুল তা দেখে ফেলায় তিনজন মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই রাতেই বসতঘরে ঢুকে দুই ভাবি মোস্তাকিনকে চেপে ধরে রাখেন এবং রায়হান ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর দুই ভাবি চিৎকার করে মানুষ জড়ো করেন।