নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেছেন, আমাদের দেশের আল-কুরআনের হাফিজগণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। হাফিজদেরকে আরো বেশি বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করলে তারা মেধা বিকাশের মাধ্যমে আরো এগিয়ে যাবেন। কুরআনের পাখি হাফিজগণদের তেলাওয়াত শোনলে মনে প্রশান্তি মিলে।
তিনি বলেন, যারা কুরআনের খেদমতে সম্পৃক্ত তাদের যথাযথ সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আল-কুরআন মানব জাতির পথ প্রদর্শক। তাই কুরআনের আলো দিয়ে অন্ধকারকে আলোকিত করতে হবে এবং কুরআনের বাণী সর্বমহলে পৌছে দিতে হবে। তিনি বাংলাদেশ সৌদি দুতাবাসের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
বিভাগীয় কমিশনার গতকাল ৯ সোমবার দুপুরে সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের বরুতখানাস্থ ফুড প্যারাডাইস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ রাজকীয় সাউদী দুতাবাসের রিলিজিয়াস এ্যাটাশে অফিস আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সিলেট বিভাগের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সৌদি দুতাবাস ঢাকা’র দ্বায়ী শায়েখ সাঈদ আল-মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৌদি দুতাবাসের সাবেক দ্বায়ী শায়খুল হাদীস ইসহাক আল-মাদানী, দৈনিক জালালাবাদ এর সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর, দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ. জামে মসাজিদের পেশ ইমাম ও খতিব শায়খ মাওলানা আসজাদ আহমদ, কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া মাদরসা সিলেটের প্রিন্সিপাল মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন।
শায়খ বদরুদ্দিন বিন ইসহাক আল-মাদানীর পরিচালনায় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সিলেট বিভাগের বাছাই পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফিজ ক্বারী মাসুক আহমদ, হাফিজ ক্বারী শাহ আলম, হাফিজ ক্বারী জহিরুল ইসলাম, হাফিজ ক্বারী আব্দুল্লাহ।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাওলানা রশিদ আহমদ, মাওলানা জুনাইদ আহমদ, রুমায়েম বখত, মুস্তাকীম ও হাফিজ আব্দুর রহমান।
হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগ থেকে ১৭০ জন হাফিজ অংশ গ্রহণ করেন। ১ থেকে ১৫ পারা গ্রুপে ৩ জন, ১৬ থেকে ৩০ পারা গ্রুপে ৩ জন নির্বাচিত হয়ে ইয়েস কার্ড পেয়েছেন। বিজয়ীরা হচ্ছেন ১৫ পারায় বিয়ানীবাজার চারখাইয়ের নাসিমু্দদ্দিন, জামেয়া রাহমানিয়া তাহফিজুল ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা আলিনগরের মুশফিকুর রহমান, মাদ্রাসাতিল ইকরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা রানাপিং এর মুসতাকিম বিল্লাহ মারজু, ৩০ পারায় বিজয়ী মাদরাতুত তাহফীজ চারখাই বিয়ানীবাজারের তাওহীদ আহমদ, মারকাজুল হুফ্ফাজ মডেল মাদ্রাসা শায়েস্তাগঞ্জের নূরুল জিহাদ, মারকাজুল ফুরকান মডেল মাদ্রাসা চুনারুঘাটের আজীজুল হক তাসলিম।
নির্বাচিত ৬ জন হাফিজ জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহণ করবেন। তাদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি সহ অতিথিবৃন্দ।