• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে বিএনসিসি প্লাটুনের র‍্যাংকব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

AMZAD
প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ১৮:০১:৩০
স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে বিএনসিসি প্লাটুনের র‍্যাংকব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সিলেটের স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) প্লাটুনের র‌্যাংকব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক। অনুষ্ঠানে ৭ জন ক্যাডেট পদোন্নতি ব্যাজ প্রাপ্ত হন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ময়নামতি রেজিমেন্ট-এর ৭, বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন কমাণ্ডার প্রফেসর ড. মেজর তোফায়েল আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ক্যাডেটদের নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং জাতি গঠনে বিএনসিসি’র ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিএনসিসি শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম। তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম ও সমাজসেবার মানসিকতা তৈরি করতে এটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।”

সভাপতির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক বিএনসিসি প্লাটুন গঠনের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, “আমি ১৯৯৫ সাল হতে বিএনসিসি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং এই নিয়ে ৩টি প্রতিষ্ঠানে প্লাটুন প্রতিষ্ঠা করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।” তিনি আরো বলেন, “বিএনসিসি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পাশাপাশি দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে এবং মাতৃভূমির বিশেষ প্রয়োজনে সহায়তা করবে।”

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্লাটুন কমান্ডার পিইউও মো. আলী আকবর। তিনি ক্যাডেটদের জন্য বিএনসিসি প্লাটুনের কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। নবগঠিত প্লাটুনের ক্যাডেটরা র‌্যাংকব্যাজ গ্রহণ করে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। তাদের মতে, এই কার্যক্রম তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হকের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এটি ময়নামতি রেজিমেন্টের ৭ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ। শুরু থেকেই প্লাটুনটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।