নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ করা গেছে। সিলেটে বিপিএল এর এতো বড় আয়োজনে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত সিলেটের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সিলেটে বিপিএল এর এই আয়োজনে কোন সাংবাদিকদেরই আমন্ত্রণ করা হয়নি। বিসিবির সিলেটে কর্মরত বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানটিকে বিতর্কিত করার জন্য এবং অনুষ্ঠানটি সফল না হওয়ার মিশনে নেমেছেন। যে কারনে অনুষ্টান আয়োজনের চরম সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে অনুসন্ধানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণমাধ্যমের আমন্ত্রণের দায়িত্বে নির্দিষ্ট কেউ নেই বিসিবির। এ বিষয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের কথা বললে একেক জন একেক ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
সিলেট জেলা স্টেডিমে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. নুর হোসেন বলেন, এটি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কর্মরত বিসিবির ভ্যানু ম্যানেজার দেখবাল করছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কর্মরত বিসিবির ভ্যানু ম্যানেজার বলেন, মিডিয়ার বিষয়টি রিমন নামে ঢাকা থেকে আগত বিসিবির একজন কর্মকর্তা দেখছেন।
ঢাকা থেকে আগত বিসিবির কর্মকর্তা রিমন বলেন, বিষয়টি বিসিবির ওলি ওয়াসিকুজ্জামান দেখছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ওলি ওয়াসিকুজ্জামানের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসুভ করেন নি। এমনকি তার হোয়াসআ্যাপে এসএমএস দিলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে তিনি একজন সাংবাদিককে জানিয়েছেন যে, মিডিয়ার দায়িত্বে তিনি নেই।
তবে বিসিবির সিলেটে দায়িত্বরত মিডিয়া কর্মকর্তা দেওয়ান তায়েফ বলেন, আমাদের কাছে বিসিবি থেকে যে তালিকা আসে সেই তালিকা অবুযায়ী দাওয়াত দেওয়া হয়। এনসিএল এ যারা কাভারেজে এসেছেন তারা এখানে থাকতে পারবেন।
তবে বিসিবি সিলেটের তালিকা কাদের মাধ্যমে করেছে, কিভাবে করেছে, এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা ঢাকায় যোগাযোগ করেন। তবে কারা দায়িত্বে আছেন, কার সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন তথ্য তিনি দিতে চান নি।
বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেটে কর্মরত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পক্ষে সাংবাদিকবৃন্দ। তাদের মতে, আওয়ামীলীগের পতনের পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখন সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান রয়েছে। যার অংশ হিসেবে বিসিবিতে কর্মরত ফ্যাসিবাদের কিছু দোসররা সিলেটের অনুষ্ঠানটি বিতর্কের মধ্যে ফেলার চেষ্টা করছে।