
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পৌষের সকালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেটে খাদ্য ও পণ্য প্রদর্শনীর। উদ্বোধন হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের রিকাবীবাজারে কবি নজরুল অডিটোরিয়াম চত্বরে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় সিলেটের সংস্কৃতি ও সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্তিকা যুব ফোরামের আয়োজনে ও ফুডিজ গ্রুপ সিলেটের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীতে সিলেটের প্রায় ৪০টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। তিনদিন ব্যাপী প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধন শেষে অতিথিদের নিয়ে সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন৷ এসময় তিনি বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সাথে ব্যবসায়িক বিষয়ে নানা আলাপ করেন। সিলেটের ঐতিহ্যগত পিঠার স্টলগুলো থেকে তিনি কয়েকটি পিঠাও খান।
পরিদর্শন শেষে তিনি সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘আমি শুধু পরিদর্শন করিনি, পিঠার স্বাদও নিয়েছি। এখানে কেউ না আসলে বুঝতে পারবেন কেমন মানসম্মত পিঠা আমাদের নারী উদ্যোক্তারা তৈরি করে থাকেন। যারা ঘুরতে আসবেন, তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিতে পারবেন। তাতে করে নিজেরাও সেটা তৈরি করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নারী উদ্যোক্তারা অনেক এগিয়ে গেছেন। এরকম প্লাটফর্মে আসলে তারা নিজেদেরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। যারা ঘরে বসে অর্ডার করে জিনিসপত্র কিনেন, তারাও এখানে এসে একনজর দেখে যেতে পারবেন কী কী পণ্য তারা অর্ডার করবেন।’ নারী উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত পণ্যের বিপণন আরো গতিশীল করতে পারলে শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি৷
শিগগিরই সিলেটের নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে নগরীর শাহী ঈদগাহে প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট ভয়েসের প্রকাশক সেলীনা চৌধুরী বলেন, ‘আমিও একজন উদ্যোক্তা এবং রন্ধন শিল্পী। সিলেটে এই ধরনের প্রদর্শনী সবসময় অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের প্রদর্শনীতে উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরিকৃত পণ্য ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপনের সুযোগ পান। বিশেষত যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তারা এই ধরনের প্রদর্শনী বা মেলার আয়োজন শুনলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের কর্মমুখী করতে এধরনের মেলা আয়োজনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের ভালো কাজে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি নিজেদের উপার্জনক্ষম করে গড়ে তুলতে পারবেন এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’