• ২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ক্যাম্পাসে পূজা দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

AMZAD
প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, ২০২৫ ২১:০০:৩৩
ক্যাম্পাসে পূজা দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজা দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল এস চক্রবর্তী। সোমবার দুপুরে সিওমেক ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

সজল ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৫১তম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এই কর্মকর্তা বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়ছ্নে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় সজল এস চক্রবর্তীসহ ৮ জন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত করা হয়।

জানা যায়, সোমবার দুপুর ১ টার দিকে সিওমেক ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজা দেখতে যান সজল। এসময় কতিপয় শিক্ষার্থী তাকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে তাকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সজলকে পূজা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর পূজা কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে তাকে বাসায় পৌছে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সজল এস চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা. সুকান্ত মজুমদার বলেন, সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা পূজা দেখতে আসছিলো। তাকে ক্যাম্পাসে আগেই অবাঞ্ছিত করা হয়ে। ফলে তার আগমণে ছাত্রদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে আমি তখন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ফলে তার সাথে কি হয়েছে তা ঠিক জানি না।

তিনি বলেন, পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছেলেকে আমার কাছে হস্তান্তর করেন। আমি তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এটি তেমন বড় কোন ঘটনা নয় দাবি করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ক্যাম্পাসে এসেছিলো। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের মারধর নির্যাতনের কারণে তাকে আগেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাকে ক্যাম্পাসে দেখে অতীতে যাদেরকে সে নির্যাতন করেছিলো তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা তাকে একটু ইয়ে করে। এরপর আমি সবাইকে শান্ত করি। এবং সজলকেও ক্যাম্পাস থেকে নিরাপদে সরিয়ে দেয়া হয়।