• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিদেশি সংশ্লিষ্টতা ও সেনা আইন ভঙ্গের দিক খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিশন

AMZAD
প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ ১৮:৩৪:৫০
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিদেশি সংশ্লিষ্টতা ও সেনা আইন ভঙ্গের দিক খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিশন

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদফতরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘রাজনৈতিক ও বিদেশি সংশ্লিষ্টতা’ এবং ‘সেনা আইন ভঙ্গের’ বিষয়টি পর্যালোচনা করছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত এ তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদফতরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেনাসদস্যসহ ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিশনের প্রধান ও তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, কমিশন ঘটনাটির ‘প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন’, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠন চিহ্নিতকরণ’, ‘প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থদের শনাক্ত করা’, ‘বিদ্যমান মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত করা’ এবং ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও সংশ্লিষ্টতা’ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

কমিশন জানায়, এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিডিআর সদস্য এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

তদন্তের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কমিশনের সভাপতি বলেন, “অনেক সাক্ষী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, কেউ পলাতক কিংবা বিদেশে অবস্থান করছেন। ফলে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে অনেকের জন্য ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ স্মরণ করাও দুরূহ হয়ে উঠছে।”

বিদেশি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্তের জন্য কিছু দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আ ল ম ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, পাশাপাশি, বিভিন্ন সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

কমিশনের ভাষ্য, দীর্ঘ ১৬ বছর আগের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ জটিল হলেও তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক ব্যক্তি ও কর্মকর্তার সংরক্ষিত দলিল ও আলামত কমিশনের হাতে এসেছে, যা সত্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কমিশন বলছে, “অনেক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগ্রহ করা আলামত ও তথ্য সত্য ইতিহাস সংরক্ষণে সহায়ক হবে। তদন্ত কমিশন যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে কাজ চালিয়ে যাবে।”