
সিলেটের এমসি কলেজে এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ইসলামি ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ‘যেসব ছাত্রসংগঠন গত ১৬ বছর জুলুমের শিকার হয়েছে, ক্যাম্পাসে পরিচয় দিতে পারেনি, আজ তারা দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু করেছে। সিলেটের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘জুলাইয়ের পরে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে। আমরা যেকোনো ধরনের হামলা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ করব। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবিরকে সারাদেশে সব পর্যায়ে কমিটি প্রকাশ করতে হবে। এখন আর কোনো ভয় নেই। আপনারা শিক্ষার্থীবান্ধব ও জনবান্ধব রাজনীতিতে ফিরে আসুন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার সহিংসতা ফিরে আসছে, মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ৯০-এর গণ অভ্যুত্থানের পর নতুন বন্দোবস্ত আসেনি, কিন্তু ২৪-এর পর সেটা করতে হবে।’
ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির যদি পুরোনো সহিংসতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব শক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে।’
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—’শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘যেই হাত সন্ত্রাস করে, সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘ছাত্রজনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘এমসি কলেজ ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’।