
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে দায়িত্ব নিতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমি মনে করেছি সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি।” তিনি জানান, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং সব কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। জাতীয় নিরাপত্তা ও গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সে সময় এটি যৌক্তিক মনে হয়েছিল। তবে গত সাড়ে ছয় মাসের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে, সরকার একটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে। এখন আমার রাজপথে থাকা জরুরি।”
নাহিদ ইসলাম মনে করেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র ও জনতার শক্তিকে সংগঠিত করতে সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকাই তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগী যোদ্ধারা চান, আমি সরকারের বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিই। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ ২৮ ফেব্রুয়ারি
এদিকে, ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগামী ২৮ তারিখ বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং শপথ নেবে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নেবেন। পাশাপাশি, দলের সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনের নাম প্রায় চূড়ান্ত, যিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান হলো এবং ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।