• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

AMZAD
প্রকাশিত ০১ মার্চ, শনিবার, ২০২৫ ১৬:৪৪:২২

চাঁদা না দেওয়ায় হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে সিলেটের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন হকাররা।এরপর শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযুক্ত সিলেট মহানগর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরী মাধবকে দল থেকে বহিষ্কার করে যুবদল।

ওই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় দুজন হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক হকার। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। উল্টো পুলিশকে ধাওয়া দেন বিক্ষোব্ধ হকাররা। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকা ছেড়ে যান।

আন্দোলনরত হকারদের অভিযোগ, সম্প্রতি যুবদল নেতা মাধব তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেয়ায় ওই ব্যক্তি শুক্রবার দুজন হকারকে উঠিয়ে নিয়ে যান।

এদিকে, অবরোধের ফলে জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে হকাররা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।তিনি বলেন, যদি কেউ চাঁদাবাজি করে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই ব্যক্তি যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে বহিস্কার করা হবে।

এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্ত সিলেট মহানগর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাধবকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন বলেন, যুবদল দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করবে না।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জয়দীপ চৌধুরী মাধকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দেওয়া হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।