
গোলাপগঞ্জের রানাপিংয়ে একটি গেইট নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকার কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেননা এলাকাবাষী। ফলে যেকোন সময় এ নিয়ে অনাকাঙ্কিত পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামবাসীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল মিয়া কারখানা বাজার সড়কের প্রবেশপথে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে একটি গেইট নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন বরাবরে আবেদন করেন। উপজেলা প্রশাসন ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি একটি স্বারকমূলে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করেন। সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনাক্রমে সর্বসম্মতভাবে মুক্তিযোদ্ধা গেইট নামকরণের জন্য অনুমোদন করা হয়। কিন্তু গেইট নির্মাণের সঙ্গে সংষিøষ্ট ছত্রিশগ্রামের উক্ত বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন সেখানে “স্বাগতম ছত্রিশগ্রাম” ফলক লাগিয়ে দেন। ফলে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শেরপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন খান নামের এক ব্যাক্তি এলাকাবাসীর পক্ষে গত ৪ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি আবেদন করেন। এতে তিনি মুক্তিযোদ্ধা গেইট অথবা ছত্রিশগ্রাম ও শেরপুর গ্রাম নামকরণের প্রস্তাব করেন। এ বিষয়ে তিনি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন।
শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা কবির আহমদ ও আনোয়ার হোসেন খান জানান, এসব আবেদনের পরেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় শেরপুরসহ আশপাশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন গত কয়েক মাস ধরে প্রতিবাদ সভা করে আসছেন। পরপর দুবার গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইণশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপজেলা প্রশাসন সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সমাধানের আশ^াস দেন। কিন্তু কোন সমাধান না করায় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে জানতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।