
সিলেটের বিশ্বনাথে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে এক যুবককে নির্যাতন করে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা ও পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে, উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের পাশে সরকারি গুচ্ছগ্রামে। আহত যুবকের নাম আব্দুল আহাদ (৪০), তিনি ওই গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, চোর সন্দেহে আহাদের বসতঘর ভাঙচুর করা হয় এবং তাকে মারধর করা হয়। এরপর কয়েকজন ব্যক্তি তাকে একই ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহাদকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে আহত আহাদের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—রহিমপুর গ্রামের শাহান শাহ, শফিউর রহমান, ইমরান মিয়া, মিলাদ উদ্দিন ও মারুফুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ রাতে রহিমপুর গ্রামের মাইজপাড়া জামে মসজিদের ইমামের মোবাইল ফোন চুরি হয়। এর জের ধরে আহাদকে চোর সন্দেহে তার নিজ ঘর থেকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয় এবং পরে রহিমপুরের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।