• ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে টানা কর্মসূচি এনসিপির

AMZAD
প্রকাশিত ২২ মার্চ, শনিবার, ২০২৫ ১৪:২৪:১৮
আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে টানা কর্মসূচি এনসিপির

জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে টানা কর্মসূচি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এসময় লিখিত বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তেব্যর নিন্দা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপ্রকাশের পর থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছি- কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন ব্যতীত আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যেকোনো ধরনের তৎপরতা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল।

আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিশ্চয়তা চায়। বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

নাহিদ বলেন, দল হিসাবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রেজিম বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে। আওয়ামী মতাদর্শ, দল এবং মার্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬শে জুলাইয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। ফলে দল ও মতাদর্শ হিসাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার সকল অধিকার হারিয়েছে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদের সকল সহযোগী ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কনসার্নের জায়গাটা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক মহলই সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবুদল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ যে একটা গণহত্যা চালিয়েছে সেটা তারা স্বীকার করেনি। দল হিসেবে তার বিচার হতে হবে। তারপরে কোনো আলোচনা হইলে হতে পারে। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের নাম, দল, মার্কা অপ্রাসঙ্গিক। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে কমিটেড। অন্য কারো কাছে না।