
যুক্তরাজ্য সরকার আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ), স্বল্পমেয়াদী, চিকিৎসা, শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা, স্পনসরশিপ এবং নাগরিকত্ব ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বল্পমেয়াদি পর্যটন ভিসার (৬ মাস) ফি বাড়িয়ে ১২৭ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯,৯৯০ টাকা) করা হয়েছে, যা বর্তমানে ১১৫ পাউন্ড (১৮,১০১ টাকা)। দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন ভিসার (৬ মাসের বেশি) ফি ৪৭৫ পাউন্ড (৭৪,৭৬৫ টাকা) করা হয়েছে, যা বর্তমানে ৪৩২ পাউন্ড (৬৭,৩৭৫ টাকা)।
৫ ও ১০ বছর মেয়াদি ভিসার ফি বাড়িয়ে যথাক্রমে ৮৪৮ পাউন্ড (১,৩৩,৬৭৬ টাকা) এবং ১,০৫৯ পাউন্ড (১,৬৬,৬৬৮ টাকা) করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ভিসার বর্তমান ফি ৪৯০ পাউন্ড থেকে বেড়ে ৫২৪ পাউন্ড (৮২,৪৭৮ টাকা) হবে।
দক্ষ কর্মী ভিসার ক্ষেত্রে তিন বছরের মেয়াদের ফি ৭৬৯ পাউন্ড (১,২১,০৪১ টাকা) এবং পাঁচ বছরের মেয়াদের ফি ১,৫১৯ পাউন্ড (২,৩৯,০৯৩ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। ইটিএ ভিসার আবেদন ফিও ১০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ১৬ পাউন্ড (২,৫১৮ টাকা) করা হয়েছে।
স্পনসরশিপ ফিও বাড়ানো হয়েছে, যেখানে দক্ষ কর্মীদের স্পন্সর ফি ৫২৫ পাউন্ড (৮২,৬৭৫ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বর্তমানে ২৩৯ পাউন্ড। নাগরিকত্ব আবেদন ফি ১,৩৫১ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ১,৪৪৫ পাউন্ড (২,২৭,৬০২ টাকা) করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ভিসা, স্পনসরশিপ ও নাগরিকত্ব ফি বাড়ানো হয়েছে। সরকার এই ব্যয়ের জন্য করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিতে চায় না বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।