বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সিলেট হলো এমন একটি নগর, যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠী মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। এ শহর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে অতীতে কখনও অপকর্মের স্থান ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।
তিনি বলেন, “মেয়র থাকাকালে নগরের বিভিন্ন মন্দির ও উপাসনালয়ের উন্নয়নে আমি কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা মানুষ কখনো অসৎ পথে যায় না, তাই সবাইকে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণের আহ্বান জানাই।”
শ্রীশ্রী মহালক্ষী ভৈরবী গ্রীবা মহাপীঠের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। আলোকিত সমাজ গঠনে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আরিফুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুদীপ রঞ্জন সেন, অধ্যাপক নৃপেন্দ্র লাল দাস, প্রকৌশলী মনোজ বিকাশ দেব রায়, অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দাস চৌধুরী, গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্নালাল রায়সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহাপীঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিবব্রত ভৌমিক চন্দন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জনার্দন চক্রবর্ত্তী মিন্টু, সহায়তা করেন নিপেশ কান্ত দেব পীযুষ।
গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী উৎসবের আজ (৬ এপ্রিল) ছিল সমাপনী দিন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।