
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক ধর্মঘট কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে সিলেটবাসী। সোমবার সকাল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয় এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়।
সারা দিন ধরে মিছিল ও সমাবেশে সিলেট মহানগর যেন রূপ নেয় প্রতিবাদী ফিলিস্তিনে। বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের দাবিতে কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও জুতার ব্র্যান্ড বাটার শোরুমে। এসময় কেএফসির ভেতরে থাকা ইসরায়েলি কোমল পানীয় নষ্ট করা হয় এবং বাটার জুতা রাস্তায় বের করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় অনেককে বাটার শো-রুম থেকে নানা জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেতেও দেখা যায়
সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় নামে বিভিন্ন সংগঠন। নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা দিনের শুরুতে বিক্ষোভে অংশ নেয়, দুপুরে রাস্তায় নামে ইসলামী সংগঠনগুলো। মহানগরের বিভিন্ন প্রান্তে একসাথে প্রতিধ্বনিত হয় প্রতিবাদের স্লোগান। বিকেলে বিএনপি, ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়। শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সারা দিন ছিলো প্রতিবাদে উত্তাল।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে। ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশের কোটি মানুষ প্রস্তুত রয়েছে। এই হামলা শুধু ফিলিস্তিনের নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর ওপর আঘাত। বিশ্বের নেতাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ আর চুপ করে থাকবে না। গণহত্যা বন্ধ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”