
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় গত সোমবার (৭ এপ্রিল) একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের অনেককে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সর্বশেষ এই হামলার পর গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৭৫০ জনেরও বেশি। ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবার ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে হামলা শুরু করলে এখন পর্যন্ত আরও প্রায় ১,৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বিশেষ করে পশ্চিম রাফার তেল আল-সুলতান পাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ২৩ মার্চ থেকে সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সেনারা। আবাসিক ভবন ধ্বংস করে এলাকা দখলের চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তারা নিজেদের ‘নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ’ এবং ‘বাফার জোন’ প্রতিষ্ঠার কথা বলে পুরো অঞ্চলকে কার্যত অবরুদ্ধ করে ফেলেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলার জবাবে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, ওই হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়। এরপর থেকে জিম্মি উদ্ধার এবং হামাস ধ্বংসের অজুহাতে আরও ভয়াবহ হামলা জারি রেখেছে তারা।
এদিকে গাজায় চলমান গণহত্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়,
“বাংলাদেশ সরকার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনী নারী ও শিশুসহ বহু নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা পুরো অঞ্চলকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখে আরও ভয়াবহ হামলায় লিপ্ত হচ্ছে।