
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ওই কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটটি ৮ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে বন্ধ হয়ে যায়।
পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি ইউনিটই কারিগরি সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। আদানি কর্তৃপক্ষ জানায়, সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।
৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৭.১৩ শতাংশ বিদ্যুৎ এসেছে ভারত থেকে। ওইদিন দুপুর ১টায় আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে ১৩০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হয়। সন্ধ্যার দিকে এই সরবরাহ ১৩৬৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এমনকি ৮ এপ্রিলের পরও ৭৫০ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৬ হাজার থেকে ১৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছেছে। আজ দুপুর পর্যন্ত দেশে ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আদানি কেন্দ্র থেকে সরবরাহ পুনরায় শুরু না হলে আগামীকাল লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) জহুরুল ইসলাম জানান, “আদানি ত্রুটি মেরামতের কাজ করছে। চাহিদা মেটাতে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।”