• ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

AMZAD
প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২০২৫ ১৭:৪৪:২০
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের বিরুদ্ধে বিএনপি ও ছাত্রদলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান ও মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির এই অভিযোগ তোলেন। তারা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগ না হলে বাগছাস কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা লিখিত বক্তব্যে জাহিদ আহসান বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও বিএনপি-যুবদলের বহিরাগত ক্যাডাররা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। যদিও কুয়েটে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ, তবুও ছাত্রদল সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে এবং এতে উপাচার্যের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার সময় ভিসির নীরব ভূমিকায় হতাশ হয় শিক্ষার্থীরা। হামলায় আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

তিনি আরও জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে ১০ এপ্রিল ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা করা হয়। সেই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়, যা বাগছাসের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির বলেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীরা আজ অসহায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিএনপি ঘেঁষা অবস্থান নিচ্ছে। তারা হল বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে রেখে দিয়েছে, যা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

সংগঠনটি পাঁচ দফা দাবি পেশ করে:

১. হামলা, মামলা ও বহিষ্কারের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
২. শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও বহিষ্কারাদেশ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করা।
৩. উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অপসারণ।
৪. ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া।
৫. মাহিন আহম্মেদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার।

বাগছাস এই ঘটনাকে নতুন করে ‘ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি’ বলে উল্লেখ করেছে এবং সকল শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।