porসিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চরম হতাশাজনক হারে সিরিজের শুরু করল বাংলাদেশ। চার দিনের নাটকীয় ম্যাচে শেষ হাসি হাসল সফরকারী জিম্বাবুয়ে, যারা প্রায় তিন বছর পর টেস্ট জয় পেল। আর বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম জয় তাদের। পুরো ম্যাচ জুড়েই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স, দায়িত্বহীন ব্যাটিং আর গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থতা—সব মিলিয়ে টাইগাররা যেন নিজেদেরকেই হারিয়ে খুঁজল।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই পতনের শুরু। শান্ত, মমিনুল আর জাকের আলী চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। জিম্বাবুয়ে এরপর ২৭৩ রান তুলে ম্যাচে এগিয়ে যায়, যেখানে বেনেট, উইলিয়ামস আর মায়াভোর ব্যাটিং ছিল চমৎকার।
দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের শুরু নড়বড়ে হলেও শান্ত-মমিনুল কিছুটা আশা জাগান, পরে জাকের আলীর হাফসেঞ্চুরি দলের রানে রঙ চড়ায়। কিন্তু সব মিলে ২৫৫ রানে থেমে যেতে হয় টাইগারদের। জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রান।
তাদের ইনিংস শুরুটা ছিল দারুণ, বেনেট-ক্যারান ঝড় তুললেও হঠাৎ করেই ম্যাচে নাটকীয় মোড় নেয়। দ্রুত উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে পড়ে বিপদে। তবে শেষ দিকে মাদেভেরের সাহসী ইনিংস আর মাসাকাদজা-নগারাভার ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস মিলিয়ে ৩ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র আশার আলো ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যিনি ১০ উইকেট শিকার করেন। মমিনুলের ফিফটি, শান্তর ফর্মে ফেরা—সবই ছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলকে স্পিন সহায়ক উইকেটে হার, সেটাও ঘরের মাঠে—এমন হারে হতবাক ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এই হারের পর বাংলাদেশের সামনে এখন চট্টগ্রাম টেস্ট। তবে প্রশ্ন রয়ে গেল—এই লজ্জা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আদৌ প্রস্তুত কি টাইগাররা? আত্মবিশ্লেষণ ছাড়া উপায় নেই, কারণ টেস্ট ক্রিকেট এখনো সাহস, ধৈর্য আর পরিকল্পনার খেলা—আর এই তিন জায়গাতেই বড় ঘাটতি টাইগারদের।