
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্বোধন হচ্ছে ‘আরএ-থ্রি’ প্রটোকলসম্পন্ন দেশের দ্বিতীয় কার্গো টার্মিনাল। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে রপ্তানি খাতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া, মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী এবং বেবিচক সচিব নাসরীন জাহান।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেবেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্রান্সের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে প্রথম কার্গো ফ্লাইটটি।
জানা গেছে, গ্যালিস্টেয়ার এভিয়েশনের মাধ্যমে পরিচালিত চার্টার্ড এয়ারবাস এ-৩৩০-৩০০ মালবাহী বিমান রবিবার সন্ধ্যায় প্রথম কার্গো ফ্লাইট হিসেবে ৬০ টন তৈরি পোশাক পণ্য নিয়ে স্পেনে যাত্রা করবে। ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে আমরা সম্পন্ন করেছি। রবিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট থেকে যাত্রী শুরু করবে প্রথম কার্গো ফ্লাইট।’
এর মাধ্যমে ঢাকার বাইরে প্রথম ‘আরএ-থ্রি’ প্রটোকলসম্পন্ন কার্গো টার্মিনাল যাত্রা শুরু করবে।
ওসমানী বিমানবন্দরের এই টার্মিনালের প্রাথমিক ধারণক্ষমতা ১০০ টন। ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের বাজারের জন্য আধুনিক মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইউডিএস) যুক্ত রয়েছে এতে।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এই প্রথম আরএ-থ্রি প্রটোকল অনুসরণ করে চালু হলো কোনো কার্গো টার্মিনাল। অনেক আগেই কার্গো টার্মিনালটি চালুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় বিলম্বিত হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে কার্গো টার্মিনাল প্রস্তুত ও প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পর রপ্তানি ক্ষেত্রে চাহিদা কম থাকায় এটি চালু করা যাচ্ছিল না।
এ ছাড়া ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা গত ৮ এপ্রিল বাতিল করে দেয় ভারত সরকার। তাতে বসে থাকেনি বাংলাদেশ। এসব ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করছে। এতে করে দেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব জনপদে রপ্তানি শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।