ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের এ সংখ্যা জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে নিহতের ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৫২,৩১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ওই ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। যার ফলে ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা ১,১৭,৭৯২ জনে দাঁড়াল। তবে আরও অনেককে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকৃত সংখ্যা অজানা।
মন্ত্রণালয় বলেছে, অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ইসরায়েলি বাহিনী এলাকা ঘিরে রেখেছে। স্বেচ্ছাসেবীদেরও হামলার শিকার হতে হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় তাদের মারাত্মক আক্রমণ পুনরায় শুরু করার পর এ পর্যন্ত ২,২২২ জনকে হত্যা করেছে। এ সময় ৫,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সব জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, ‘হামাস এখন এক ধাপেই সব বন্দি বিনিময় এবং পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।’ আজ মিসরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল গাজায় ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যেখানে ১০ জীবিত জিম্মির মুক্তির শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ১৭ এপ্রিল হামাস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস শুরু থেকেই আংশিক যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।