
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী তিন জেলায়—ইস্ট খাসি হিলস, ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস ও ওয়েস্ট জয়ন্তিয়া হিলসে—রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা এসব এলাকায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকবে। পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিবাংশ আরস্থির সই করা আদেশে বলা হয়েছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কারফিউ এলাকার পরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে শূন্যরেখা থেকে যথাক্রমে এক কিলোমিটার (ইস্ট খাসি), ৫০০ মিটার (ইস্ট জয়ন্তিয়া) এবং ২০০ মিটার (ওয়েস্ট জয়ন্তিয়া) পর্যন্ত। আদেশে বলা হয়, সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়, ফলে রাতের আঁধারে চোরাচালানি ও জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে। কারফিউ চলাকালে পাঁচজনের বেশি জমায়েত, অস্ত্র বহন, পণ্য পাচারসহ বেশ কিছু কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি জানান, ‘গোয়াইনঘাট সীমান্তে এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত’। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জুবায়ের আনোয়ার।
সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকরা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না বলে জানান। তবে বিজিবির সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এই পদক্ষেপের পেছনে ভারতের মূল উদ্বেগ—সীমান্তে বেড়া না থাকায় বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান বেড়ে যাওয়া। মেঘালয়ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘শিলং টাইমস’ এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও, মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ব্যক্তিগত বিবৃতি পাওয়া যায়।