হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৯টার দিকে সংঘর্ষটি ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জলসুখা গ্রামের ডা. রেজাউল করিম ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর আগেও উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ সোমবার (১২ মে) হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে স্থানীয়ভাবে তা মীমাংসা করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আবারও উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন সাইকুল বেগম (৫০), জিয়াউর রহমান (৩৫), তকদির মিয়া (৪২), ইমন (২২), নাইম মিয়া (২৪), শামিম মিয়া (১৯), মছদ উল্লা (৬০), জয় (২০), মুসকুদ উল্লা (৫০), আলী নুর (১৪), ফয়সল (১৪) সহ অনেকে।
ডা. রেজাউল করিম অভিযোগ করে জানান, কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষ তার ওপর হামলা চালায় এবং তিনি থানায় মামলা করেন। সোমবার সেই মামলার আসামি ধরতে পুলিশ গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আবারও হামলা চালায়। পরদিন মঙ্গলবারও তাদের ওপর হামলা হয়, যা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
অন্যদিকে, চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর পক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য লিবাছ মিয়া জানান, ডা. রেজাউলের লোকজন তাদের পক্ষের এক নারীকে মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং প্রতিপক্ষ তাদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়।
আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
