সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার দুটি অভিযোগে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রথম সাক্ষী হৃদয় পারভেজের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
মামলায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারক স্বপন কুমার দাস পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৯ মে দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার নথিপত্র দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয় এবং গত ৬ মে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হোসেন। তিনি জানান, সকল আসামির উপস্থিতিতে হৃদয় নামের একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর উচ্চ আদালতের আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ১৭ মার্চ আপিল বিভাগ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলার অনুমোদন দেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ছয়জনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ডিএনএ পরীক্ষায় ধৃত আট আসামির মধ্যে ছয়জনের সঙ্গে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন: সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান (রনি), তারেকুল ইসলাম (তারেক), অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন (আইনুল), মিসবাউল ইসলাম (রাজন), রবিউল ও মাহফুজুর। তারা সবাই ছাত্রলীগের টিলাগড়কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।