
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটের দায়ে পাঁচ শ্রমিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার (২১ মে) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স এই অভিযান পরিচালনা করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযানে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটে জড়িত পাঁচ শ্রমিককে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ৩১টি বারকি নৌকা জব্দ করে ধ্বংস এবং একটি পাথর পরিবহন ট্রাক্টর আটক করা হয়। অভিযানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আরএনবি সদস্য অংশ নেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন— ফাটাবগা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র জসিম উদ্দিন, উজান আজিবপুর গ্রামের হরমুজ আলীর পুত্র তোফাজ্জল, ও পর্যাকান্দা গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র আবেদ আলী। বাকি দুজন হলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা— ঢালারপাড় গ্রামের আব্দুন নুরের পুত্র ছালিক মিয়া এবং বটেরতল গ্রামের ইছুব আলীর পুত্র ইরন মিয়া।
এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) সাদা পাথর পর্যটন এলাকায় পাথর লুটের দায়ে ১৪ শ্রমিককে দুই বছরের জেল এবং সোমবার (১৯ মে) আরও পাঁচ শ্রমিককে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধ পাথর উত্তোলন রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।