
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবিরাম বৃষ্টি ঝরিয়ে স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরের সতর্কতা সংকেতও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে টানা বা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগেই ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, রংপুর বিভাগে তিস্তার সঙ্গে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। উজানে ভারি বৃষ্টির প্রভাবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেও নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সে সঙ্গে ভারি বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টির রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মোটামুটি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে।
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও কয়দিন থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে যেহেতু বর্ষাকাল, কিছু কিছু জায়গায় থেমে থেমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত হবেই।