
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি আবদুল্লাহ আল-মামুনকে মামলায় “শ্যোন অ্যারেস্ট” দেখানো হয়েছে।
রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়, যা বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ১৪ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দীর্ঘ প্রায় সাত মাস তদন্ত শেষে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গণহত্যা চালায়, যাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। আন্দোলনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করে।
গত ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের বিবিধ মামলার তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করছে।