বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের পর একটি পক্ষ যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব নেয়ার চেষ্টায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো ঠিক তেমনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের আরেকটি পক্ষ সব কৃতিত্ব দাবী করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ১৭ বছরের লড়াই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় দেশের তরুণ সমাজ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এ অংশিদার সবাই। আর বড় অবদান বিএনপির। যারা সম্মুখ সমরে ১০ বছর সংগ্রাম করেছে। এখন তারাই সামনের সারিতে থাকবে। আত্মগোপনে তারা কোনো নেতাকর্মী নয়। কারণ এই সংগ্রামের কারিগর জননেতা তারেক রহমান। তাঁর নির্দেশনাতেই আগামীতে দেশ ও দল চলবে। দল এবং তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি শনিবার ( ২১ জুন) বিকেলে গোলাপগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন এডভাইজারী কাউন্সিলের সদস্য, টাওয়ার হ্যামলেটস এর সাবেক ডেপুটি মেয়র আ ম অহিদ আহমদেও বাড়িতে উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সিলেট জেলা বিএনিপর সাবেক সহ সভাপতি মহিউস সুন্নাহ চৌধুরীর নার্জিসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএিনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এ এ মালিক, সিলেট জেলা বিএনিপর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধূরী,সিলেট জেলা ফেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা এম ইকবাল হোসাইন। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম সাইফুর রহমান, সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ফালাকুজ্জামান চৌধূরী জগলু, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অহিদ আহমদের পুত্র এবং যুক্তরাজ্য সরকারের উপ প্রধান মন্ত্রীর এডভাইজর জায়ান আহমদ।

মাহিদুর রহমান বলেন অহিদ আহমেদ দেশের মতো ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরেও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ব্রিটেনের রাজনীতিতে বার বার নির্বাচিত কাউন্সিলর হয়েছে, প্রথম নির্বাহী ডেপুটি মেয়র এমনকি সরকারী দল লেবার দল থেকে পার্লামেন্টেরী নির্বাচন করেছে কিন্তু সে বি এনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি বরং সে বিভিন্ন দেশে আন্দোলনে এবং লবিংয়ে সক্রিয় ছিলো।

বক্তারা বিএনপির জন্য অহিদ আহমদ এবং তার বড় ভাই এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদের পরিবারের সদস্যদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, অহিদ আহমদকে নিয়ে আগামী দিনে এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন পুরণে বিএনপির হাই কমান্ড এগিয়ে আসবে এমনটি প্রত্যাশা করেন। তারা বলেন অহিদ আহমদ এলাকায় রাজনীতি শুরু করেন। বিদেশে দেশের মুখ উজ্জল করেছেন। এখন এলাকার মানুষ তাঁকে চায়। বক্তারা বলেন অহিদ আহমদ বিএনপির পরিক্ষিত নেতা। এই পরিবার বিএনপির পরিক্ষিত পরিবার। এলাকার মাটি এবং মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সর্বজন স্বীকৃত।
অনুষ্ঠানের আয়োজক গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজারের মাটি ও মানুষের নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যফেয়ার্স এডভাইজর আ ম অহিদ আহমদ তার বক্তব্যে সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মী এবং জনসাধারণের প্রতি ঈদ পুনর্মিলনীতে উপস্থিত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, উপজেলা যুবদল থেকে যে রাজনীতি তার শুরুর হয়েছিলো তা আজ গণমানুষের স্বপ্নে রূপ নিয়েছে। তাই জনপ্রত্যাশা পুরণে তিনি এলাকার মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, অহিদ আহমদ আয়োজিদ এই পুনর্মিলণীতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিণœ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ঘটে।