• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে স্বামীকে জুয়া খেলায় বারণ করায় স্ত্রীকে খুন

AMZAD
প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ২১:২০:২৬
জগন্নাথপুরে স্বামীকে জুয়া খেলায় বারণ করায় স্ত্রীকে খুন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত স্বামীকে বারণ করায় চেয়ারের আঘাতে নাদিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত আমজাদ হোসেন প্রতিদিন রাত করে বাড়ি আসা এবং ঠিক মতো সংসারের খরচ বহন না করায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পারিবারিক এ কলহে বুধবার দুপুর ১টার দিকে আমজাদ ও নাদিয়া মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমজাদ হোসেন চেয়ার দিয়ে স্ত্রী নাদিয়াকে আঘাত করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে নাদিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামী আমজাদ তাঁকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে নাদিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে সিলেটে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সিলেটে নেওয়ার পথে ওই গৃহবধূর শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্মরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রথমে নাদিয়ার স্বামী তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং আমাদের মিথ্যা তথ্য দেন। এসময় নাদিয়ার অবস্থা খারাপ বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়। কিন্তু কিছু সময় পর দ্বিতীয়বার যখন তাঁকে নিয়ে আসা হয়, তখন ওই গৃহবধূ হাসপাতালে আসার আগেই মারা যায়।
নাদিয়ার মা সৈয়দা হুসনেয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে প্রায়ই আমাকে বলতো তাঁর স্বামী অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত, রাত করে বাড়ি এসে তাঁকে মারপিট করতো। শুধু জুয়া খেলা নয়, আমজাদ নেশাও করত। এসব কিছুতে বারণ করায় আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার পর থেকে আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন।