
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ৪টা পর্যন্ত ২৩ ঘণ্টা ধরে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন করছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে সকাল থেকে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুরে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে।
রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, আন্দোলন নিয়ে কলেজ প্রশাসন তুচ্ছ-তাচ্ছিল করায় আমরা কলেজ গেট থেকে রাস্তায় নেমে এসেছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বুধবার বিকাল ৫টা থেকে অনশনে বসেছি। আজ এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি। কেউ দেখতে আসেননি। শুধু তই নয়, আমাদের এখানে রেখে ভেতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
এই রাস্তায় যান চলাচল কতক্ষণ বন্ধ থাকবে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এখানে কতক্ষণ থাকবো তা রাষ্ট্র নির্ধারণ করবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অনশনরত সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন জনকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চার জনের অবস্থাও ক্রিটিক্যাল।
তিতুমীর ঐক্যের সাত দফা দাবি হলো– সরকারি তিতুমীর কলেজকে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে অ্যকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি পরিচালনা করতে হবে; শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অথবা খরচ বহন করতে হবে; আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন দুটি বিষয় ল (আইন) ও জার্নালিজম সংযোজন করতে হবে; অ্যকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে; শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিত করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গবেষণাগারের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান সরকারি সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।