
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা ৭১–এর পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম মো. বায়েজিদ (২৫), যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। জানা গেছে, তিনি ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনের পরও দীর্ঘদিন ধরে বায়েজিদ ক্যাম্পাসে গোপনে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন ‘এ’-এর সামনে থেকে তাঁকে আটক করেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে, বেলা পৌনে তিনটার দিকে সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতে তাঁকে জালালাবাদ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান হক জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী বায়েজিদ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাঁকে থানায় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘বায়েজিদ একসময় আমাদের সঙ্গে কোটা আন্দোলনে ছিল, কিন্তু পরে আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সরকারবিরোধী প্রচার চালায় এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করত।’
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বায়েজিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত বা মামলা থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’