• ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে লিলু হত্যা : ৪ মাস পর রহস্য উন্মোচন, ঘাতক গ্রেপ্তার

AMZAD
প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ০০:৫৯:০২
বিশ্বনাথে লিলু হত্যা : ৪ মাস পর রহস্য উন্মোচন, ঘাতক গ্রেপ্তার

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : প্রায় চার মাস পর সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু (৫০) হত্যার রহস্য উন্মোচন হলো। ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত দা ও নিহতের ব্যবহৃত জুতা আলামত হিসেবে জব্দ করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার পূর্বপাড়া গ্রামে গ্রেপ্তার আসামি মাহবুবুর রহমানের দেখানো ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা, নিহতের ব্যবহৃত জুতা উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান সুনামগঞ্জ সদরের ধুবারখালি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তাকে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, সিলেটের বিশ্বনাথে মনিরুজ্জামান লিলুকে কুপিয়ে হত্যা করে গ্রেপ্তার আসামি মাহবুবুর রহমান। হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য সুনামগঞ্জ থেকে তাকে ভাড়া করা হয়।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার আকুল মিয়ারা ৫ ভাই। তারা সকলে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধকর্মে জড়িত থাকায় এক ভাই ক্রস ফায়ারে, আরেকজন গণপিটুনিতে মারা যান। আরেক ভাই পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে এক পা কেটে ফেলতে হয়। এসব ঘটনারও আগে তাদের চাচাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন লিলু। এসব ঘটনার নেপথ্যে মনিরুজ্জামান লিলুর হাত রয়েছে ধারণা করতো প্রতিপক্ষ। যে কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

তদন্ত সূত্র জানায়, মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কারাগারে পরিচয় আকুলের। সেখানে মনিরুজ্জামান লিলুর কাছে টাকা পাবে বলে তাকে বিষিয়ে তুলে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এরপর কারাগার থেকে বেরোনোর পর তাকে দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করানো হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় নওধার পূর্বপাড়া গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিরুজ্জামান লিলুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত লিলু ওই গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে। ৯ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ।

নিহত লিলুর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ওই মামলায় মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ নিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। এর মাসখানেক আগে একই ঘটনায় আফজাল আহমদ নামে আরেক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।